– আচ্ছা মিসেস সান্যাল আপনি কি ভেবে চিন্তে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন?
পূর্ব পরিচিত গাইনো সার্জন ডাঃ সরকারের কথার উত্তরে অল্প হেসে দিতি সান্যাল বলল-‘
-সম্পূর্ণ সুস্থ মস্তিষ্কে।’
একটু থেমে দিতি আবার বলে ওঠে
-১২ বছর আগে লাইগেশন করিয়ে নিয়েছি দ্বিতীয় সন্তান কোলে আসার পর।কিন্তু এখন আমি আবার একটি সন্তানের জন্ম দিতে চাই।সেটা কি সম্ভব?
ডাঃ চৌধুরী একটু হেসে,অবাক হয়ে দিতির দিকে তাকিয়ে বললেন,
-এখনকার দিনে আবার তৃতীয় সন্তান? তাও আবার দুটি সন্তান সুস্থ স্বাভাবিক থাকার পর!!!! Are you mentally fit madam??
– প্লিজ ডাঃ, আপনি শুধু বলুন লাইগেশনটার কিছু ব্যাবস্থা করে আবার কন্সিভ করতে পারব কিনা?
– আপনি আমার পূব পরিচিত ম্যাডাম।তাই আমার একটু কৌতুহল হচ্ছে আপনার এই সিদ্ধান্তর কারণ জানার।যদি বলেন………….
– সে এক গল্প বটে।তবে শুনুন। আমার প্রাক্তন তুহিন।পারিবারিক কারনে আমরা বিয়ে করতে পারি নি।কিন্তু বর্তমানে সে আমার মামাতো বোনের স্বামী। আর আমার স্বামীর খুব ভাল বন্ধু। ওদের বিয়ের বেশ কয়েক বছর হয়ে গেল কোন সন্তান নেই। ডাঃ দেখানো হয়েছে অনেক।পরীক্ষা করে ডাঃ বলেছেন আমার বোনের শরীর সন্তান এর জন্ম দেওয়ার জন্য খুবই দুর্বল। এক কথায় ও অক্ষম।
কিছুক্ষন চুপ থেকে দিতি বলে,
-তুহিন ভীষণ বাচ্চা ভালবাসে।ওর চোখে আমি না পাওয়ার কষ্ট উপলব্ধি করি। তাই আমি চাই যদি একটি সন্তান ওদের আমি উপহার দিতে পারি! সন্তানের বায়োলজিক্যাল বাবা মা ওরাই হবে।আমি শুধু ধারন করব।
– আপনার স্বামী জানেন আপনার এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে? কারণ লাইগেশন খোলার অপারেশনের জন্য ওনার স্বীকৃতি এবং স্বাক্ষর দুটোই আবশ্যক।
-এখনও বলিনি।আগে আমি নিজে নিশ্চিত হওয়ার জন্য আপনার কাছে এসেছি।তারপর ওকে বোঝাব আমার ইচ্ছের কথা। ও না করবে না।
– এত কিছু কি শুধু বোনের জন্য? নাকি………
কিছুক্ষন চুপ থেকে দিতি জড়ানো কন্ঠে বলতে থাকে
-এই জন্মে তো আর তুহিনকে পেলাম না নিজের করে। আর বোনটিও আমাকে বড্ড ভালোবাসে, তাই আমার একটুখানি চেষ্টা যদি একটি সন্তান উপহার দিয়ে যদি ওদের পরিবারটিকে পূর্ণ করতে পারে………তবে নিজেকে পূর্ণ মনে করব। মনে করব তুহিনকে আমি আমার শ্রেষ্ঠ উপহার দিলাম। আর বোনটিও মা ডাকের, মাতৃত্বের স্বাদ পাবে।
পূর্ব পরিচিত গাইনো সার্জন ডাঃ সরকারের কথার উত্তরে অল্প হেসে দিতি সান্যাল বলল-‘
-সম্পূর্ণ সুস্থ মস্তিষ্কে।’
একটু থেমে দিতি আবার বলে ওঠে
-১২ বছর আগে লাইগেশন করিয়ে নিয়েছি দ্বিতীয় সন্তান কোলে আসার পর।কিন্তু এখন আমি আবার একটি সন্তানের জন্ম দিতে চাই।সেটা কি সম্ভব?
ডাঃ চৌধুরী একটু হেসে,অবাক হয়ে দিতির দিকে তাকিয়ে বললেন,
-এখনকার দিনে আবার তৃতীয় সন্তান? তাও আবার দুটি সন্তান সুস্থ স্বাভাবিক থাকার পর!!!! Are you mentally fit madam??
– প্লিজ ডাঃ, আপনি শুধু বলুন লাইগেশনটার কিছু ব্যাবস্থা করে আবার কন্সিভ করতে পারব কিনা?
– আপনি আমার পূব পরিচিত ম্যাডাম।তাই আমার একটু কৌতুহল হচ্ছে আপনার এই সিদ্ধান্তর কারণ জানার।যদি বলেন………….
– সে এক গল্প বটে।তবে শুনুন। আমার প্রাক্তন তুহিন।পারিবারিক কারনে আমরা বিয়ে করতে পারি নি।কিন্তু বর্তমানে সে আমার মামাতো বোনের স্বামী। আর আমার স্বামীর খুব ভাল বন্ধু। ওদের বিয়ের বেশ কয়েক বছর হয়ে গেল কোন সন্তান নেই। ডাঃ দেখানো হয়েছে অনেক।পরীক্ষা করে ডাঃ বলেছেন আমার বোনের শরীর সন্তান এর জন্ম দেওয়ার জন্য খুবই দুর্বল। এক কথায় ও অক্ষম।
কিছুক্ষন চুপ থেকে দিতি বলে,
-তুহিন ভীষণ বাচ্চা ভালবাসে।ওর চোখে আমি না পাওয়ার কষ্ট উপলব্ধি করি। তাই আমি চাই যদি একটি সন্তান ওদের আমি উপহার দিতে পারি! সন্তানের বায়োলজিক্যাল বাবা মা ওরাই হবে।আমি শুধু ধারন করব।
– আপনার স্বামী জানেন আপনার এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে? কারণ লাইগেশন খোলার অপারেশনের জন্য ওনার স্বীকৃতি এবং স্বাক্ষর দুটোই আবশ্যক।
-এখনও বলিনি।আগে আমি নিজে নিশ্চিত হওয়ার জন্য আপনার কাছে এসেছি।তারপর ওকে বোঝাব আমার ইচ্ছের কথা। ও না করবে না।
– এত কিছু কি শুধু বোনের জন্য? নাকি………
কিছুক্ষন চুপ থেকে দিতি জড়ানো কন্ঠে বলতে থাকে
-এই জন্মে তো আর তুহিনকে পেলাম না নিজের করে। আর বোনটিও আমাকে বড্ড ভালোবাসে, তাই আমার একটুখানি চেষ্টা যদি একটি সন্তান উপহার দিয়ে যদি ওদের পরিবারটিকে পূর্ণ করতে পারে………তবে নিজেকে পূর্ণ মনে করব। মনে করব তুহিনকে আমি আমার শ্রেষ্ঠ উপহার দিলাম। আর বোনটিও মা ডাকের, মাতৃত্বের স্বাদ পাবে।
